Image description

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান গুমের ঘটনার দীর্ঘ ৯ বছর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী এই প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল ও সাধারণ মানুষের নিকট গিয়ে গণতদন্ত করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের টিমের কাছে সরেজমিনে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন রেজোয়ান হোসেনের চাচা আবু মুছা, চাচাতো ভাই রিপন হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা।

জানা যায়, শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান হোসেন ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল বেনাপোল জামে মসজিদের পাশের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে দুর্গাপুর সড়কের ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছাতেই ওঁত পেতে থাকা বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নুর আলমের সামনে পড়েন। তখন বেলা ১২টা। প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানদারের সামনে থেকে তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যান এসআই নুর আলম। খবর পেয়ে গুম হওয়া রেজোয়ানের পিতা, স্থানীয় মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান, ছুটে যান পোর্ট থানায়। থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান এবং তদন্ত কর্মকর্তা শামীম খন্দকারের পায়ে ধরেও খোঁজ পাননি একমাত্র ছেলে রেজোয়ানের।

সে সময় রেজোয়ান বাগআঁচড়া আফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।

রেজোয়ান গুম হওয়ার ৯ বছর পর তার বাবা মিজানুর রহমান ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যশোরের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে গুম ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান, তদন্ত কর্মকর্তা শামীম খন্দকার এবং এসআই নুর আলমের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করা হয়। এরপর থেকে অপূর্ব হাসান পলাতক থাকেন। শামীম খন্দকার ও নুর আলম চাকরিতে বহাল আছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, "আমরা দিনব্যাপী ঘটনাস্থল, থানা ও সাধারণ মানুষের নিকট থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে।"