জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সবুজ করলার সমারোহ। এ বছর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
উপজেলার আটিগ্রাম, মুনঝার, মিনিগাড়ি, আয়মাপুর, দেওগ্রাম, ঘুগইল, হিন্দা ও বাখেরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি করলা চাষ হয়েছে। ব্যবহৃত জাতগুলোর মধ্যে মোঘল, গ্লোরি, নবাব ও কাবেরী–৮৮ উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে ‘মোঘল’ জাতের করলা ফলন ও বাজারমূল্যে সবার শীর্ষে রয়েছে।
আটিগ্রাম গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, “এক বিঘা জমিতে মোঘল জাতের করলা চাষ করে আমি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করায় আগাছা হয়নি, পানি ধরে রাখা সহজ হয়েছে, ফলে ফলনও বেড়েছে। আগের যেকোনো মৌসুমের তুলনায় এবার লাভ অনেক বেশি।”
মুনঝার গ্রামের কৃষক কাবিল হোসেন জানান, “১৬ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি। আগে এত লাভ কল্পনাও করিনি। করলা চাষ এখন আমাদের গ্রামের অনেকের আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠছে।”
ক্ষেতলাল উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরুল হোসাইন বলেন, “যেসব কৃষক মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করেছেন, তাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি লাভবান হয়েছেন। এতে মাটি আর্দ্র থাকে, আগাছা কমে, গাছের ফলন বাড়ে।”
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান বলেন, “রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কৃষকেরা ব্যাপক হারে জৈব সার ব্যবহার করায় গাছ সতেজ ছিল, রোগবালাই কম হয়েছে। ফলে ফলন ও মান দুটোই ভালো ছিল।”
ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, “আমরা করলা চাষে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। করলা এখন ক্ষেতলাল অঞ্চলে লাভজনক ফসল হিসেবে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আগামী মৌসুমে চাষের পরিধি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।”




Comments